Monday, March 4, 2013

Healthy Without Medicine



ওষুধ ছাড়াই ভালো থাকুন


বিশ্বায়নের প্রভাবে আমরা প্রকৃতিসম্মত জীবনযাত্রা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি দিনকে দিনকৃত্রিম, অসুস্থ ও ক্ষতিকর জীবনধারণে যুক্ত হয়ে যাচ্ছিএর ফলে আমাদের শরীর ও মনে নানান নেতিবাচক দশা তৈরি হচ্ছেঅথচ স্বাভাবিক উপায়ে খুব সহজেই সুস্থ, সুন্দর ও সুখী জীবন উপভোগ করা সম্ভবজীবনের ধাঁচ বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করলে বার্ধক্য  ঠেকিয়ে সতেজ, সুন্দর ও সুখী জীবন পাওয়া যায়

আদর্শ খাদ্য
 স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য জানি সবাইকিন্তু মানি কয়জন? খাবার হতে হবে কম ক্যালরিযুক্ত; কিন্তু বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধউচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, আর্থ্রাইটিস ও ক্যান্সারজাতীয় প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচতে হলে বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে ঘি, বাটার, ডালডা, চর্বি বা প্রচুর তেলসমৃদ্ধ  পোলাও, রোস্ট, বিরিয়ানি, খাসি ও গরুর গোশত খাওয়া কমিয়ে দিনঅনুষ্ঠানগুলোতে যেসব খাবার পরিবেশিত হয়, তা সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যসম্মত নয় একেবারেইবিশেষ করে ৪০ থেকে ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তির জন্য জাঙ্কফুড খুবই বিপজ্জনক খাবারএসব খাবারে পুষ্টি কম, চর্বি বেশিজাঙ্কফুড বা ফাস্টফুড যে নামেই ডাকুন না কেন এসব খাবার খেতে যত মজাদারই হোক শরীরের জন্য ভালো নয় মোটেইএতে আরো রয়েছে অতিরিক্ত লবণ, চিনি, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (টেস্টিং সল্ট) ও টারট্রাজিনজাতীয় (কোমল পানীয়, চিপস ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়) বিতর্কিত খাদ্যোপকরণজৈব খাবার দেহের জন্য আদর্শ
কীটনাশক এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই যেসব খাদ্য উপাদন করা হয় সেগুলোই অর্গানিক বা জৈব খাদ্যখাবারে কম করে হলেও অর্ধেক জৈব শাকসবজি ও ফলমূল থাকা উচিতবাকি খাদ্যের মধ্যে থাকতে হবে জৈব ভুসিসমৃদ্ধ শস্য, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও তেলসবচেয়ে ভালো তেল হলো তিসি ও জলপাইয়ের তেল তবে অন্যান্য তেলের তুলনায় সুলভ ও সহজলভ্য বলে সয়াবিন তেলই বেশি খাওয়া হয় আর সালাদ হতে হবে খাবারের একটি অপরিহার্য অংশ
পরিশোধিত শর্করা, চিনি, সাদা রুটি, ময়দা, পেস্তা, কেক, কুকিজ, পিজ ও পেস্ট্রি বর্জন করুনঅঙ্কুরিত এবং সম্পূর্ণ পেস্তা বা আটা (অর্থা যে ভাঙানো গম থেকে কিছুই ঝেড়ে ফেলা বা ছেঁটে ফেলা হয়নি) খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত জরুরিখাসি এবং গরুর গোশত কম খাওয়া ভালোএর মধ্যে থাকা চর্বি হৃদরোগ সৃষ্টির কারণপ্রোটিন হিসেবে মাছ ও মুরগির গোশত ভালো ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য বিশেষ উপকারীকাঁচা লবণ খাওয়া কমিয়ে দেয়া দরকার
অর্গানিক ডিম, দুধ ও দই স্বাস্থ্যকর খাবারএসবের ভিটামিন-সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-ই, সেলেনিয়াম শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঅ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সবচেয়ে ভালো উস ফলমূল, শাকসবজি ও সবুজ চাওষুধ কোম্পানি উপাদিত ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চেয়ে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি কার্যকর ও সস্তা
 
ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন দুই মাইল (তিন কিলোমিটার) হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুনপ্রথম দিকে অল্প দূরত্ব টার্গেট করে হাঁটা শুরু করুনআস্তে আস্তে দূরত্ব ও হাঁটার গতি এমন পর্যায়ে বাড়ানো উচিত, যাতে হৃদস্পন্দনও বাড়েহাঁটার জন্য নরম ও হালকা-পাতলা জুতা ব্যবহার করলে হাঁটায় গতি ও আরাম পাওয়া যায়বাইরে খোলামেলা জায়গায় দূষণমুক্ত বাতাস ও সূর্যের আলোতে হাঁটার উপকারিতা বেশি এতে সারা দিনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দূর হবে ব্যায়াম করলে রাতের ঘুম ভালো হয়হাঁটা ছাড়াও সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা অথবা জিমনেশিয়ামে ব্যায়াম করা যেতে পারেব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই একজন ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন

ওজন কমান
ক্যান্ডি, আইসক্রিম, প্রচুর চিনিসমৃদ্ধ খাবার, কোমলপানীয় পান, তেল ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কারণে মানুষের ওজন বেড়ে যাচ্ছেশরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসজাতীয় বহু রোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছেএসব ভয়ঙ্কর মরণঘাতী রোগের কথা ভেবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্থূলকায় লোকদের ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে থাকেনঅতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার শরীরের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারেস্থূলকায় লোকদের শরীরের শিরা-উপশিরার অভ্যন্তরীণ দেয়ালে কোলেস্টেরল, লিপিড বা চর্বিজাতীয় দ্রব্য এবং লাইপোফেজ পুঞ্জীভূত হওয়ার কারণে শিরা মোটা হয়ে যায় এবং সমপ্রসারণ-সংকোচন ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ফলে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়

পানিই জীবন
শরীরের ৭২ শতাংশই পানিএমনকি হাড়ের এক-চতুর্থাংশ, পেশির তিন-চতুর্থাংশ এবং মস্তিষ্কের ৮৫ শতাংশও পানিরক্ত ও ফুসফুসের ৮০ শতাংশই পানি দিয়ে গঠিত জীবনের জন্য অক্সিজেনের পরে পানির স্থানঅনেকে মনে করেন কফি, চা ও সোডা থেকে তারা পর্যাপ্ত পানি আহরণ করেনতা খানিকটা ঠিক, তবে চা ও কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন, যা সাধারণত ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করেডাইইউরেটিকের কাজ হলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়াশরীরের ওজনের সঙ্গে পানি পানের পরিমাণের একটি সুসম্পর্ক রয়েছেকারো শরীরের ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয়, তার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে সাত-আট গ্লাসের পানি দরকারপরীক্ষায় দেখা গেছে, পানিস্বল্পতার কারণে শরীরে শক্তি তৈরি হতে পারে নাবেশি পানি পান করলে শরীর থেকে অতিসহজে বর্জ্য পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি ঢুকতে পারে প্রতিদিন আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে ৮০ শতাংশ ভুক্তভোগীর পিঠ ও গিঁটের ব্যথা সেরে যায়শরীরে ২ শতাংশ পানিস্বল্পতা দেখা দিলে স্মৃতিশক্তি সাময়িক লোপ পেতে পারেপ্রতিদিন পাঁচ গ্লাস পানি পান করলে মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৭৯ শতাংশ এবং ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়

ধূমপান ছাড়ুন
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস, জানেন সবাইধূমপান করলে শরীরে অসংখ্য রোগের উপত্তি হয়বেশির ভাগ ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য ধূমপানকে দায়ী করা হয়

পর্যাপ্ত ঘুমান
পরিমিত ঘুমের অভাবে দেহে শক্তি উপাদন, গ্লুকোজ মেটাবলিজম কমে যায় এবং বয়োবৃদ্ধি বা এইজিং প্রক্রিয়া বেড়ে যায়শরীরে শক্তি সংরক্ষণ, কোষপুঞ্জ তৈরি ও মেরামত, শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠন, মস্তিষ্কে কোষের ধ্বংসাবশেষ থেকে পরিষ্কার রাখার জন্য পর্যাপ্ত ও নিরুপদ্রব ঘুমের প্রয়োজনশরীর তার ক্ষয়পূরণ ও মেরামত করে ঘুমের ডেল্টা পর্যায়ে যা সকালের গভীর ঘুমের সময় সংঘটিত হয়ে থাকেভরা পেটে ঘুমাতে গেলে ভালো ঘুম হয় নাআর ঘুমানোর কাছাকাছি সময়ে রাতের খাবার খেলে সর্বোচ্চ পরিমাণে গ্রোথ হরমোন নিঃসরিত হয় নারাতের বেলায় বেশি পানি পান করলে বারবার টয়লেটে যেতে হয় বলে ঘুমের বিঘ্ন ঘটেএটাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়

উপকারী রোদ
সূর্যালোক উপভোগ করুনকারণ সূর্যালোক সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, যা ছাড়া শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় নাআর ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে শরীরে ক্যালসিয়ামের বিশ্লেষণে বিঘ্ন ঘটেক্যালসিয়াম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপকরণপ্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যস্নান করা দরকার

ওষুধেও বিপদ
ওষুধ যেমন রোগ সারায়, তেমনি রোগও সৃষ্টি করতে পারেওষুধ সাধারণ ভোগ্যপণ্যের মতো কোনো পণ্য নয়সুতরাং অপ্রয়োজনে, নিজের খেয়ালমতো কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়

আত্মনিয়ন্ত্রণ
শরীর কেবল রক্ত-মাংসে গড়া কোনো বস্তু নয়, মন এবং আত্মা এর অবিচ্ছেদ্য অংশ আবেগ-অনুভূতি মানুষের শরীরের ওপর ভীষণ প্রভাব ফেলেবস্তুজগতে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মাসর্য, অসূয়া বা ঈর্ষা ও প্রতিহিংসা আমাদের দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি, অসুস্থতা ও ধ্বংসের মূল কারণবদ অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রেখে পরম স্বর্গসুখের স্বাদ লাভ করা যায়

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার দিবেন

Ajma Treatment


হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

যেসব জিনিস থেকে হাঁপানির আক্রমণ শুরু হয় সেগুলো বাড়ি থেকে দূরে রাখুনএ জন্য হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জি পরীক্ষা করে জানা দরকার তার কোন দ্রব্যাদি থেকে অ্যালার্জি শুরু হয় হাঁপানি রোগে আক্রান্ত অনেকেরই পশুপাখির লোমে অ্যালার্জি থাকেএই সব প্রাণী বাড়ির বাইরেই রাখুনবিছানা করুন প্লেন লিনেন দিয়েপ্রতিদিন দুবেলা ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা দরকাররোগীর বিছানার চাদর প্রতিদিন ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা প্রতিদিন রোদে শুকাতে হবেযেসব জিনিস থেকে ধুলো ওড়ে সেগুলো নাড়াচাড়া করবেন নাএসব ঝাড়ার সময় রোগীকে ঘরের বাইরে থাকতে হবেকোনো ঝাঁঝালো গন্ধ যেমন মসলা ভাজার গন্ধ, মশা মারার সেপ্র, পারফিউম যেন নাকে প্রবেশ না করেধুলো, ধোয়া, ঠাণ্ডা বা কুয়াশা লাগানো চলবে নারাস্তার ধুলো, ঘরের ধুলো, গাড়ির ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন যারা বাইক অথবা নন-এসি গাড়ি চালান তারা অবশ্যই মাস্ক পরে নেবেন

ধূমপান বারণ
সিগারেটের ধোয়া হাঁপানির কষ্ট সাংঘাতিকভাবে বাড়িয়ে দেয়শুধু হাঁপানিই নয়, ফুসফুস ও শ্বাসনালি সংক্রান্ত অনেক অসুখের অন্যতম কারণ ধূমপানসিগারেটের ধোঁয়া থেকে প্রথমে ব্রঙ্কাইটিস, পরে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস সৃষ্টি হয়হাঁপানি রোগী নিজে তো ধূমপান করবেই না, উপরন্তু যে ঘরে হাঁপানি রোগী থাকে সেখানেও কোনো স্মোকারের প্রবেশ নিষেধকারণ পরোক্ষ ধূমপানও হাঁপানির কষ্ট অনেকটা বাড়িয়ে দেয়

শোয়ার ঘর রদবদল করুন
ঘর থেকে কার্পেট বের করে দিনএগুলোতে প্রচুর ধুলা জমেনরম চেয়ার, কুশন ও বাড়তি বালিশও বার করে দিনএগুলোতেও ধুলা জমেতোশক ও বালিশে চেনটানা বিশেষ ধুলোরোধক ঢাকনা ব্যবহার করুন, তা না থাকলে অন্তত পাতলা রেক্সিনের কাভার দিন
পরিষ্কার ও খোলা হাওয়ার জন্য জানালা খোলা রাখুনভ্যাপসা ও দমবন্ধ লাগলে জানালাগুলো খুলে দিন, এমনকি রান্না করার সময় ধোঁয়া উঠলে উগ্র গন্ধ ছড়ালেও তা করতে পারেনকাঠ বা কেরোসিনে রান্না করলে ধোঁয়া বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একটা জানালা অল্প খুলে রাখুনযখন বাইরে গাড়ির ধোঁয়া, ফ্যাক্টরির দূষণ ধুলো বা ফুল ও গাছের রেণু বেশি থাকে, তখন জানালা বন্ধ রাখুন

ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন নিয়ম করে হালকা ব্যায়াম করা খুব জরুরিতবে একটা ব্যাপার ভুললে চলবে না বেশি ব্যায়ামের জন্য যেন হাঁপানির টান না ওঠেহাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো এগুলো কিন্তু হাঁপানি রোগীদের পক্ষে ভালো ব্যায়ামহাঁটার সময় সামনে ঝুঁকে হাঁটবেন নাশিরদাঁড়া সোজা রেখে প্রতিদিন দু-তিন কিলোমিটার খোলা বাতাসে সমতলে হাঁটুনএর সাথে করা দরকার প্রাণায়ম জাতীয় গভীর শ্বাস নেয়ার আসনযেমন ধীরে ধীরে শ্বাস টানতে হবে যতক্ষণ নেয়া যায়, তারপর যতক্ষণ সম্ভব শ্বাসটাকে আটকে রাখতে হবে এবং তার পর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবেশিশুদের ব্যায়াম-খেলাধুলার সময়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে দেখা উচিত যে ওদের কোনো অসুবিধা বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি নাহলে খেলার আগে ওষুধ দিয়ে দিতে হবে


টেনশনমুক্ত থাকতে হবে
কোনো কারণে ভয় পেলে, মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা শোক পেলেও হাঁপানির টান হতে পারেতাই মনটাকে রাখতে হবে টেনশন ফ্রি, শরীর-মন শিথিল করে দেয়া রপ্ত করতে হবেহাঁপানি রোগীর অনুপস্থিতিতে কয়েকটি কাজ সেরে রাখুনঘরদোর মুছে, ভ্যাকুয়াম করে বা ঝাঁট দিয়ে রাখুন, পোকামাকড়ের জন্য সেপ্র করুন, কড়া গন্ধযুক্ত রান্নাবান্না সেরে রাখুন, ঘরে ফেরার আগে হাওয়া খেলতে দিন

পানি
হাঁপানির চিকিসা চলাকালে রোগীকে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হয়কারণ শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে হাঁপানির ওষুধ কাজ করে নাএ ছাড়া পানির অভাবে কফ জমে যায় ও সহজে বেরোতে পারে না, ফলে শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায়

খাওয়া-দাওয়া
বেশি রাতে ভরপেট খেলে টান উঠতে পারেতাই রাতে পেট ভরে ভুলেও খাবেন নাহাঁপানি রুখতে নিয়ম করে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে খেতে হবে, অকারণে তাড়াহুড়া করা চলবে না, ঝাল মসলাদার খাবারের বদলে হালকা রান্না করা বাড়ির খাবার খাওয়াই বাঞ্ছনীয়ফ্রিজ থেকে বের করে সাথে সাথে ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া উচিত নয়, রুম টেমপারেচারে এলে তবেই খাবেন, ঠাণ্ডা কোল্ড ড্রিঙ্কস বা ফ্রিজের পানি প্রচণ্ড গরমেও খাওয়া উচিত নয়

ঘরের তাপমাত্রা
শীতকালে ঘর গরম রাখতে পারলে ভালো হয়ঘরে তাপানুকূল যন্ত্র থাকলে অনেক সময় ধুলো ময়লার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়কিন্তু তাই বলে তাপানুকূল ঘরের বাইরে বারবার যাতায়াত করা উচিত নয়যন্ত্রের হাওয়াটা যেন সোজাসুজি গায়ে এসে না লাগে এটাও দেখা প্রয়োজন

হাঁপানির আক্রমণ শুরু হলে চটপট তা
সামলাতে চেষ্টা করুন
হাঁপানির আক্রমণ শুরু হওয়ার লক্ষণগুলো হলো-
  • কাশির শোঁ শোঁ শব্দ
  • বুকে চাপ সৃষ্টি
  • রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া
যে জিনিস থেকে শুরু হয়েছে সেটি থেকে দূরে সরে যানসালবুটামল জাতীয় ওষুধের ইনহেলার ব্যবহার করুন প্রয়োজনে পাঁচ মিনিট পরপরশান্ত থাকুন, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন যদি এতেও ভালো না হন তাহলে ডাক্তারের কাছে জরুরি সহায়তার জন্য যানযদি হাঁপানির এই বিপদসঙ্কেতগুলোর কোনো এ টিও দেখেন, তাহলে সাহায্য নিন
(ক)    আপনার চটপট আরামের ওষুধ যদি খুব বেশিক্ষণ কাজ না করে বা তাতে একেবারেই উপকার না হয়
(খ)    শ্বাস-প্রশ্বাস যদি দ্রুত ও জোরে জোরে হয়
(গ)    যদি কথা বলতে কষ্ট হয়
(ঘ)    ঠোঁটে বা আঙুলের নখ নীল বা ছাই রঙের হয়ে যায়
(ঙ)    পাঁজরের চারপাশে ও ঘাড়ের কাছের চামড়া শ্বাস নেয়ার সময় ভেতর দিকে টেনে ধরে
(চ)    হঠা সপন্দন বা নাড়ির গতি অত্যন্ত দ্রুত হয়, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়

আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করবেনঅনেক সময় ডাক্তার ইনহেলার প্রেসক্রিপশন করেন, কিন্তু রোগী বা রোগীর অভিভাবকরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকেন এটা ব্যবহার করবেন কি করবেন না, মনে করেন এটা একবার ব্যবহার করলে সারাজীবন নিতে হবে, বিশেষ করে যখন এক বছরের নিচের শিশুদের দেয়া হয় বর্তমানে উন্নত বিশ্বের সর্বত্রই ইনহেলার ব্যবহার হচ্ছেএতে ওষুধের পরিমাণ কম লাগে এবং কাজও হয় খুব তাড়াতাড়ি
রোগীদের চিকিসায় অ্যালার্জির ধরন অনুযায়ী ডাক্তার ভ্যাকসিন দিলে তা ঠিকমতো দিতে হবেঅনেকে ভ্যাকসিন নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকেনএটাও আধুনিক চিকিসার একটা অংশদীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে এর কোনো বিকল্প নেই

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার দিবেন